ডিএইচ মামুন: করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশের মতো সিলেট নগরীর প্রায় শতাধিক কিন্ডার গার্টেন (কেজি স্কুল) বন্ধ রয়েছে। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সহস্রাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্কুল বন্ধ থাকায় বেতন নেই।
সিলেট নগরীতে প্রায় শতাধিক কিন্ডার গার্টেন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন সহস্রাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী। আর এ শিক্ষকরা প্রায় সাড়ে বিশ হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদান করিয়ে থাকেন। এ সকল কিন্ডার গার্টেন স্কুল শিক্ষার্থীদের বেতন ও টিউশন ফি দিয়ে চলে। শিক্ষার্থীদের থেকে প্রাপ্ত বেতন ও টিউশন ফি থেকেই সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন প্রদান করা হয়। কিন্তু করোনায় সরকারি আর্দেশে গত ১৮ মার্চ হতে সকল কিন্ডার গার্টেন বন্ধ রয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা। স্কুল বন্ধ থাকায় কোনো বেতন নেই। টিউশন ফি বন্ধ থাকায় শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাসিক সম্মানীও বন্ধ।
তাছাড়া ঘরে-বাহিরে যাওয়া বন্ধ হওয়ায় অনেক শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ নেই। আবার অনেকেই অস্বচ্ছল। শিক্ষক পেশায় থাকায় সমাজে সম্মানীয় হওয়ার কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ গ্রহণ করতে পারছেন না। আবার না পারছে মুখ ফুটে কিছু বলতেও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একাদিক শিক্ষাবিদ জানান , কেজি স্কুলের শিক্ষক ছাড়াও আরও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব স্কুলে নিয়োজিত আছেন।
কিছুটা বাড়তি সহায়ক বই যুক্ত করে সরকারি বিধি মেনে সরকারি শিক্ষা কারিকুলাম মেনে ও সরকারি সকল জরিপে অংশ গ্রহণ করে কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলোতে পাঠদান করা হয়। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল ভালো অর্জন করায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের কেজি স্কুলে ভর্তি করান। এখন যেহেতু পাঠদান বন্ধ, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করে শিক্ষক, কর্মকর্তাদের বেতন হচ্ছে না। তাই তাদের জন্য রেশন কার্ড ও নগদ অর্থ প্রনোদনা প্রদানের দাবি করছি।